দ্য কর্সিকান ব্রাদার্স The Corsican Brothers
বই রিভিউ | দ্য কর্সিকান ব্রাদার্স |
লেখক | আলেকজান্ডার দ্যুমা |
ভাষান্তর | কাজী আনোয়ার হোসেন |
ক্যাটাগরি | কিশোর ক্লাসিক উপন্যাস |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | ৬৪ (বিশ টি পরিচ্ছেদ ) |
দ্য কর্সিকান ব্রাদার্স The Corsican Brothers: “মার্চ মাস।কর্সিকা এসেছি,গোটা দ্বীপ ঘুরে দেখব বলে। শুনেছি দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নাকি অতুলনীয়,সত্যি কিনা এবার নিজ চোখে দেখতে এসেছি, দেখতে।
তুলোঁ থেকে জাহাজে আজাসিও পৌঁছতে লাগে বিশ ঘন্টা, বাস্তিয়ায় নামলে চব্বিশ ঘন্টা। আমি নেমেছি বাস্তিয়া বন্দরে ।নেমেই একশো ফ্রাঁ দিয়ে কিনে নিয়েছি একটি তরতাজা ঘোড়া।
‘কোত ‘ আর ‘আজাসিও’ দেখা হয়ে গেছে, এখন চলেছি সাখাতান প্রদেশের মধ্যে দিয়ে সুলাখোর দিকে।……………”
(এভাবেই লেখক নিজের ভাষায় কথা দিয়ে উপন্যাসের শুরু করেছেন। এখানে ফরাসী কিছু জায়গার নাম ব্যবহার করেছেন। উপরের লাইন গুলো উপন্যাসের এক নং পরিচ্ছেদ এর থেকে নেওয়া।”
দ্য কর্সিকান ব্রাদার্স The Corsican Brothers কাহিনী
ফ্রান্স অধিকৃত একটি প্রতন্ত অঞ্চল কর্সিকা। সেখানে লেখক বেড়াতে গিয়ে একটা বাড়িতে আশ্রয় নেয়।সেই বাড়িটি ছিল সম্ভ্রান্ত একটি পরিবারের বাড়ি।ঐ পরিবারের সদস্য যমজ দুই ভাই লুসিয়েন ও লুই দো ফ্রানশি।
তাদের চেহারা এতো মিল যে ছোট বেলায় ওদের মা পর্যন্ত কোনটা কোন জন তা চেনার জন্য তাদের জামায় চিহ্ন ব্যবহার করতে বাধ্য হতেন।
দেখতে একরকম হলেও কি হবে, দুই জনের মন-মানসিকতা সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের। একজন নিজের মধ্যে বুনো স্বভাবের খাঁটি কর্সিকান মন মানসিকতা ও পোশাক পরিচ্ছদ ধারণ করে ।আর অন্য জন ফরাসী সংস্কৃতির ধারক ও বাহক, চিন্তা চেতনায় আধুনিক , উন্নত জীবনের প্রতি আশাবাদী । একজনের সখ্যতা বন্দুক , পিস্তল ,ছোরা সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এর সাথে ;আর অন্য জনের সখ্যতা প্রেম , দর্শন, ইতিহাস, কবিতা,আইন এগুলোর সাথে । কিন্তু পরস্পর পরস্পরের কোন ভাইয়ের ভালোবাসার কমতি ছিল না । একজন অন্যজনের জন্য নিবেদিত প্রাণ ।তাদের ভাতৃত্বের একটা চরম পরিণতির মধ্যে দিয়ে লেখক এই উপন্যাস টি শেষ করেছেন। তাছাড়া সেখানকার সংস্কৃতি ও মানুষের মনোভাব যেমন তুলে ধরেছেন ঠিক আবার ফ্রান্সের শহরে সংস্কৃতির সাথেও পাঠক দের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
গল্প ও তিনি “ডুয়েল খেলা”র সাথে ও একটা পরিচিত তৈরি করেছেন।
দ্য কর্সিকান ব্রাদার্স The Corsican Brothers লেখক পরিচিতি:
আলেকজান্ডার দ্যুমা (১৮০২-১৮৭০) ছিলেন এক চতুর্থাংশ নিগ্রো ও তিন-চতুর্থাংশ ফ্রেঞ্চ।
শৈশবটা তাঁর দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে কাটাতে হয়।’হেনরী থ্রী ‘ লিখে প্রথম তিনি সুনাম অর্জন করেন। তারপর ছোট গল্প , উপন্যাস ও নাটক লিখে চলেন একের পর এক।১৮৪৪ সালে ,’দ্য থ্রী মাস্কেটিয়ার্স ‘ তাঁকে এনে দেয় প্রচুর অর্থ ও জগতজোড়া খ্যাতি।
বইটি পুরাতন বইয়ের দোকানে ২০/৩০ টাকায় আর রকমারি ডট কমে ৮০ টাকায় পেয়ে যাবেন
চাইলে অনলাইনে পিডিএফ ও পড়তে পারেন।
রিভিউ লেখক: সামিউল হক নিঝুম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।
আরো পড়ুন
চিলেকোঠার সেপাই উপন্যাস আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
স্পেনে মুসলমানদের ইতিহাস এইচ এম শামসুর রহমান
আমার মুক্তিসংগ্রাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল হক

Hi, I am Sami, I am studying public administration at Chittagong university.