ম্যান উইদাউট উইম্যান (Men Without Women)
বইয়ের নাম | ম্যান উইদাউট উইম্যান (Men Without Women) |
লেখক | হারুকি মুরাকামি |
অনুবাদ | অরণ্য আপন |
মূল্য | ২৫০ টাকা |
পৃষ্ঠা | ১৬০ |
লেখক পরিচিতি
হারুকি মুরাকামি-
জন্ম -১৯৪৯
উপন্যাস সংখ্যা -১৩
পুরষ্কার -ওয়ার্ল্ড ফ্যান্টাসি অ্যাওয়ার্ড,জেরুজালেম পুরষ্কার, গত এক দশকে কয়েকবার সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারে শর্ট লিস্টেড হয়েছেন।
দি গার্ডিয়েনের স্টিভেন পুল সাহিত্যকর্মের জন্য হারুকি মুরাকামিকে পৃথিবীর জীবিত সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম বলে আখ্যা দেন।
অনুবাদ – অরণ্য আপন পরিচিতি
জন্ম -১৯৯৩ সাল
পড়াশোনা -ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে
লেখকের অন্যান্য বই:
- অন্তঃসারশূন্য
- নিসর্গের রঙ
- মৃত্যুনদীর গান
- তাওবাতুন নাসুহ
- সূর্যমুখী
- ঈশ্বরী ফুল
- ডেড সিম্পলি
- ঈশ্বরকে পাইনি তোমাকে পেয়েছি
সূচিপত্র
ড্রাইভ মাই কার
কাফুকু এক চরিত্র থাকে যিনি নারী চালকদের দুই প্রকারে বিভক্ত করেছে।
১.খুব বেশি সাহসী
২.খুব বেশি ভীত
ওবা যার গাড়ির গ্যারেজ আছে, কাফুকু তার গাড়ির গ্যারেজে গাড়ি মেরামত করে। কাফুকু একজন অভিনেতাও বটে এবং তার মৃত স্ত্রী ও অভিনেত্রী ছিল। তার স্ত্রী পরকিয়া করতো, কাফুকু তা জানতো। কাফুকু বুঝতে পারতো না কেন তার সাথে এমন প্রতারণা করে, কি ঘাটতি আছে কাফুকুর মাঝে, কিন্তু সেই উত্তর অধরায় থেকে গেল। কারণ কাফুকুর স্ত্রী ক্যানসারে মারা যান। তাদের একটা বাচ্চা জন্ম গ্রহণ করে মারা যায়, এবং এই মৃত্যুর পর থেকে কাফুকুর সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্ক বদলে যেতে শুরু করে। কাফুকু তার স্ত্রীর মৃত্যুর পরে অনেক মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছে, কিন্তু সে সবসময় তার স্ত্রী কেই অনুভব করতো।
ইয়েস্টারডে
কিতারু নামের এক ব্যক্তির কাহিনি নিয়ে শুরু, কিতারু পড়াশোনা খুব কম করত, যখন অবসর পেত তখন খুব পড়াশোনা করত, কিন্তু একাডেমিক পড়াশোনা নয়। কিতারু কানসাই ভাষা শিখেছিল। কিতারু স্কুল জীবনে এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিল এবং তারা প্রতিজ্ঞা করেছিল যে যতদিন কিতারু এন্ট্রান্স পাশ না করে, ততোদিন তারা ডেটে যাবে না৷ একসময় কিতারু অন্য কারো সাথে সম্পর্কে যায় এবং কিতারু তার বন্ধুকে তার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে ডেটে যেতে বলে। ব্যাপার টা তার বন্ধুর কাছে রহস্যময় ও বিস্ময়কর লাগে। কিতারু চাইতো তার গার্লফ্রেন্ড কোন অপরিচিত ছেলের সাথে ডেটে না যায়। এজন্যই কিতারু তার বন্ধুকে বলেছিল তার গার্লফ্রেন্ড এর ডেটে যেতে।
এই অংশে আমার প্রিয় বাক্যটি হচ্ছে –
এইটা তোমার জীবন, তুমি তাই করবে, যা তুমি করতে চাও। ভুলে যাও মানুষ কী ভাবছে!
অ্যান ইনডিপেনডেন্ট অর্গ্যান
তোকাই নামে এক ব্যাক্তির গল্প যিনি বিয়ে করেন নি এবং বিয়ে করতে চান ও না। সে অনেক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় এবং সে এটাকে খুব স্বাভাবিক মনে করতো। সে নারী সঙ্গ খুব পছন্দ করত, নারীদের সাথে কথা বলা, ওয়াইন পান করা, সেক্স বাড়তি সুখ যুক্ত করতো, তবে সর্বশেষ উদ্দেশ্য ছিল না। তোকাই এর বেশিরভাগ বন্ধুর বিয়ে হয়ে গেছিল এবং তাদের বাচ্চাও হয়েছিল। তোকাই তার জীবন নিয়ে সুখেই ছিল এবং তার ক্লিনিক ছিল যেটি সে খুব ভালোমতো চালাতো। কিন্তু এক সময় তোকাই সত্যি সত্যিই এক নারীর প্রেমে পড়ে যায়, হাজারো নারীর ভিড়ে তোকাই সেই নারীকেই কামনা করে। কিন্তু সেই নারীর ভালোবাসা না পেয়ে তোকাই অকালমৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।
শাহেরজাদি
শাহেরজাদি ৩৫ বছর বয়সের গৃহিণী, শাহেরজাদির সাথে হাবারার দৈহিক ও মানসিক সুন্দর একটা সম্পর্ক। তাদের সুন্দর বোঝাপড়া। শাহেরজাদি হাবারার কাছে সবকিছু শেয়ার করতো। শাহেরজাদি এক সময় স্কুল জীবনে একজনের প্রেমে মারাত্মকভাবে পতিত হয়েছিল, অনেক পাগলামি করতো তখন, আস্তে আস্তে সেই মোহ কেটে গেল, শাহেরজাদি নিজের ঐ ছেলের প্রতি মোহ কাটানোকে রহস্যময় বাস্তবতার মতো মনে করে।
কিনো
কিনো যিনি তার চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল কারণ তার অফিসের বন্ধুর সাথে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিনো এক রাতে তাদের কে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে,তারপর কিনো ঐযে বাড়ি ত্যাগ করে আর ফিরে আসে না। কিনো তার খালার কফিশপ টাকে বারে রুপান্তর করে ব্যবসা চালাতে শুরু করে। প্রথম প্রথম খদ্দের না আসলেও, আস্তে আস্তে খদ্দের এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিনোর বারে এক মহিলা আসত,কিনো সেই মহিলার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। কিনোর সাথে কিনোর স্ত্রীর ডিভোর্স ও হয়ে যায় এবং কিনোর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিনো ক্ষমা করে দেয়। কিনো ক্ষমা করে দিলেও আজও কিনো ভাবে তার স্ত্রীর কথা, ভুলে যাওয়া কি এতোই সহজ!
সামসা ইন লাভ
কিনোর পর সামসা ইন লাভ যেখানে সামসা নামের এক রুগ্ন মহিলার কাহিনি ফুটে উঠেছে
ম্যান উইদাউট উইম্যান
সর্বশেষ অংশ হচ্ছে ম্যান উইদাউট উইম্যান।সম্পর্কের জটিল পরিস্থিতি নিয়েই মূলত “ম্যান উইদাউট উইম্যান” বইটি।

পাঠক,লেখক,বিতার্কিক,মুক্তমনা জ্ঞানপিপাসু।