ভ্যাম্পায়ার রহস্য
গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন ভ্যাম্পায়ার রহস্য
রকিব হাসান
প্রথমা প্রকাশনী
মূল্য – ২৬০ টাকা মাত্র
লেখক পরিচিতি- রকিব হাসান।
জন্ম ১৯৫০ সালে কুমিল্লায়।
প্রকাশিত বই-৪০০
ছোটদের জন্য লেখা তিন গোয়েন্দা সিরিজ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। অনুবাদ করেছেন টারজান সিরিজ।
কিশোর মুসা রবিন সিরিজের আরো ১০ টি বই
- রহস্যের দ্বীপ
- হাইপারসনিক রহস্য
- অর্গান পাইপ রহস্য
- অপারেশন বাহামা আইল্যান্ড
- বাঘের মুখোশ
- গোলকরহস্য
- ক্যানারি দ্বীপের রহস্য
- গোল্ডেন বাইক রহস্য
- ডাইনির শহর
- সবুজ দুর্গ
সারসংক্ষেপ
তিন গোয়েন্দা কিশোর, মুসা, রবিন ম্যাগনাকার্ড জালিয়াতি চক্রকে ধরিয়ে দিতে মাঠে নামে। জালিয়াতি চক্র চরম ধূর্ত বিধায় পথে পথে গোয়েন্দাদের নানাধরণের সমস্যায় পড়তে হয়। জীবন ঝুঁকিতে পড়তে হয় গোয়েন্দাদের। তার সাথে রয়েছে ভ্যাম্পায়ার। ভ্যাম্পায়ার হচ্ছে রক্তচোষা বাদুড়। মূলত ভ্যাম্পায়ার গুলো জালিয়াতি চক্রের ই আরেক চাল। কিভাবে গোয়েন্দারা জালিয়াতি চক্রতে ধরতে পারে,, আদৌ কি ধরতে পারে এই নিয়েই রকিব হাসানের ভ্যাম্পায়ার রহস্য।
চরিত্র সমূহ
- কিশোর
- মুসা
- রবিন
- কেনি
- ডোরি
- রিড
- টিমি
- জনসন
- শোঁয়া
- টলমার
- হারম্যান
- ফাঙ্গাস
- রেঞ্জার
- ক্লার্ক
- স্যান্ডার
- বট গিলবার্ট
কাহিনী
ম্যাগনাকার্ড জালিয়াতি চক্রকে ধরতে পারলে নগদ পুরস্কার বিশ হাজার ডলার। এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায় না তিন গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন। বেরিয়ে পড়ে রহস্য সমাধান করতে। পথে পথে শুধু বাঁধা বিপত্তি। মৃত্যুর হাতছানি। গোয়েন্দাদের জীবন আসলেই কতো ভয়ানক।অন্যদিকে গোয়েন্দা মুসার অল্প দামে কেনা ট্রেন্ট ও ম্যাগনাকার্ড জালিয়াতিতে ফেঁসে যায়।বেচারা মুসার টাকা গুলো বিপথে খরচ হলো।ওহ ভুলেই গিয়েছিলাম,, গোয়েন্দাদের আরো একজন সফরসঙ্গী ছিল।তার নাম টিমি। কি মনে হচ্ছে টিমি কে হতে পারে?না টিমি কোন মানুষ না,টিমি হচ্ছে কুকুর। ট্রেনিং প্রাপ্ত কুকুর। টিমি গোয়েন্দাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতে থাকে ঘ্রাণ শুকে শুকে। এই টিমি একবার মারাত্মক ভাবে আহত হয় অপরাধীদের দ্বারা। আবার অপরাধীরা ফাঁদে ফেলে এই টিমি কে দিয়েই গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে কাজ করায়।বেচারা টিমি বুঝবে কিভাবে কে তার আপন আর কে তার পর।টিমি তো শুধু নির্দেশনা অনুযায়ী ঠিকঠাক কাজ করে।কে এখন নির্দেশনা দিচ্ছে সেটা টিমির জানার বিষয় নয়। হাহা
গোয়েন্দারা মি.জনি নামক ব্যাক্তির বাগানে তাঁবু বাঁধে।ভদ্রমহাশয় প্রথমে অনেক রাগ করলেও পরবর্তীতে গোয়েন্দাদের সাহায্য করে। পথিমধ্যে সোনালী চুলের এক বালকের সাথে মারামারি বাঁধে। সোনালী চুলের ছেলেটি গোয়েন্দাদের গিটার ভেঙে ফেলে,গোয়েন্দারাও ছাড়ার পাত্র নয়। তবে এই মারামারি তে নীল পাথরের রহস্য ও উঠে আসে। গোয়েন্দাদের বিপদ কিছুতেই থামতে থাকে না। একসময় গোয়েন্দাদের ক্যাম্পে আগুন লেগে যায়।অল্পের জন্য প্রাণ বেঁচে যায় তারা ।
অবশেষে গোয়েন্দারা অপরাধীদের একদম কাছাকাছি চলে যায়।পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা একটি দুর্গম জায়গায় অপরাধীদের মুখোমুখি হয় তারা। গোয়েন্দাদের কে আটকে ফেলে জালিয়াতি চক্ররা। এক গোয়েন্দা কৌশলে পালিয়ে যায় এবং পুলিশের সন্ধান করে নিয়ে আসে,, সবশেষে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জালিয়াতি চক্রকে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের মিশন সফল হয়।
এখানে মজার বিষয় হচ্ছে বইটির নাম ভ্যাম্পায়ার রহস্য হলেও বইটির প্রথমে কিছুই থাকে না ভ্যাম্পায়ার নিয়ে।তাই পাঠক যদি ভাবে ভ্যাম্পায়ার নিয়ে অনেক চমকপ্রদ তথ্য আছে তাহলে আগেই নিরাশ হতে হবে। বইটির নাম ম্যাগনাকার্ড রহস্য রাখলে মন্দ হতো না। সে যাই হোক বইটির ৮৩ পৃষ্ঠা থেকে ভ্যাম্পায়ার এর কাহিনি উঠে আসে। এখানে ভ্যাম্পায়ার তেমন কিছু না। জালিয়াতি চক্র ভ্যাম্পায়ারের ভয় দেখিয়ে গোয়েন্দাদের দমিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয় কারণ ভ্যাম্পায়ার এই পরিবেশে বেশি সময় বাঁচতে পারে না। জালিয়াতি চক্ররা সূদুর থেকে ভ্যাম্পায়ার এনেছিল তবে তাদের পরিকল্পনা বিফলে যায়। বইটির প্রতিটি প্লটেই শুধু রহস্য আর রহস্য। গোয়েন্দা কাহিনি যেমন হয় আর কি। আপনি যদি গোয়েন্দা কাহিনি ভালোবেসে থাকেন তাহলে নিঃসন্দেহে পড়তে পারেন রবিন হাসানের “গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন এর ভ্যাম্পায়ার রহস্য”

পাঠক,লেখক,বিতার্তিক,মুক্তমনা জ্ঞানপিপাসু।