ভয় দূর করার উপায় কি ?
মানসিক ভয় দূর করার উপায় কি?
মনের ভয় দূর করার উপায় কি?
রাতে ভয় দূর করা উপায় কি?
ভয় পাওয়া ব্যাপারটা সবার মাঝেই কম বেশি কাজ করে। ভয় ব্যাপারটাকে মনোবিজ্ঞানীরা মানসিক বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তারা এটাকে মানসিক বিষয় হিসেবেই ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন।
মূলত মনের মাঝে ভয় পুষে রাখার কারণেই মানুষ ভয় পায়।

কিছু ভুল বিশ্বাসের কারনেও আমরা ভয় পাই। এই বিষয়গুলো সমাজ, আশেপাশের পরিবেশ থেকেই পেয়ে থাকি। বিশ্বাসগুলোর সত্যতা যাচাই করা হয় না। এই বিষয়গুলো মনের অজান্তেই আমরা মনে পুষে রাখি। দিনের পর দিন এই বিশ্বাস আমাদের মনে ভয় ঢুকায়।
আশেপাশের মানুষ যখন কাউকে ‘ভিতু’ বলে। তখন সে আপনা আপনি নিজেকে ভিতু হিসেবে বিশ্বাস করে। মনের ভয় দূর করার উপায় খুঁজতে যায় না।
ভয় দূর করার উপায় সমূহ
মনের ভয় দূর করার উপায় হিসেবে সবসময় ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, এমন কথা নেই। নিজে নিজে চাইলে মনের অনেক ভয় দূর করা যায়। নিজেই নিজের মনের ভয় দূর করার উপায় জানা যায়।
ভয় দূর করার কৌশল সমূহ নিচে আলোচনা করা হল।
মনের ধারণা দূর করা

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে, যারা একটা ধারণা মনে পুষে রেখে ভয় পায়। ভূতের সিনেমা দেখা, ভৌতিক গল্প পড়া, ভৌতিক গল্প শোনা এগুলোতে যারা ভয় পায়, তাদের উচিত এটার বাস্তবতা খোঁজা। ভৌতিক সিনেমায় শেষ পর্যন্ত দেখা উচিত। ভৌতিক সিনেমায় ভয়ের জিনিসগুলো না ভেবে নায়ক নায়িকার রোমান্টিক সিন, হাসির কাহিনি এগুলো ভাবুন। দেখেবন অনেক ভয় দূর হবে।
কৌতূহলের কারণে অনেক সময় মনের ভয় দূর হয়।
মনে ভয় পুষে রাখলে, তা কোনদিন দূর হবে না। তাই ভয়ের জিনিসটা কৌতূহল নিয়ে আসল কাহিনি জানতে হবে। যখন আসল ব্যাপারটা জেনে যাবেন, তখন আর ভয় কাজ করবে না।
ভয়কে জয় করার মাধ্যমে

ভয়ের মধ্যে আলাদা একটা অনুপ্রেরণা থাকে। ভয় পেলে সেই কাজ আরো মনযোগ দিয়ে করা যায়। যে কাজ করতে বেশি ভয় কাজ করে, সেই ভয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলে ভয় দূর হবে এবং সফলতাও আসবে।
‘আমি পারবো’ এই বাক্যটি মাথায় থাকলে, ভীতি অনেকটাই কমে যায়। নিজেই নিজেকে অভয় দিতে হবে। কাঙ্ক্ষিত ফল না এলেও হার মেনে, ভয় পেয়ে বসে না থেকে, আবার চেষ্টা করতে হবে।
নিজেকে ব্যস্ত রাখা

ভয় পেলে নিজের মাইন্ড অন্যদিকে ঘুরানোর জন্য নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। যতটা নিজেকে ব্যস্ত রাখা যাবে, ভয় থেকে তত দূরে থাকা যাবে। চুপচাপ বসে থাকলে ভয় আরো ভীত করে তুলবে। যা থেকে প্যানিক এটাক করার চান্স থাকে।
প্রিয়জনের সাথে কথা বলা বা সময় কাটানো

ভয় পাওয়ার পরবর্তী মুহুর্তে প্রিয়জনের সাথে কথা বলুন। পরিবারের মানুষ অথবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিন, গল্প করুন। এভাবে সময় কাটানো ভয় দূর করার উপায় হতে পারে।
বই পড়া

পছন্দের লেখকের বই পড়তে পারেন। সেটা যদি হয় উপন্যাস বা গল্পের বই, তাহলে আপনি সেই উপন্যাস বা গল্পের মধ্যে ডুবে যাবেন। আপনার সামনে গল্পের দৃশ্যপটগুলো ভেসে উঠবে। এভাবে আপনার মাইন্ড সেটাপ ঘুরে যাওয়ার পাশাপাশি ভয়, আতঙ্ক দূর হবে।
শারীরিক ব্যায়াম অথবা যোগব্যায়াম করা

যোগব্যায়াম সবসময় মানুষকে সাহসী করে তোলে। নিয়মিত যোগব্যায়াম করার ফলে নিজের ভেতর আলাদা কনফিডেন্স তৈরী হয়। এই কনফিডেন্স পরবর্তী মুহুর্তে আপনার ভয় দূর করার উপায় হবে।
সাধারণ ভয়কে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রথমবার প্রেজেন্টেশন দিতে গেলে আপনার ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। এই ভয়টা আপনাকে আস্তে আস্তে দূর করতে হবে। অনেকে প্রথমবার ভাইভা দিতে গিয়েও ভীত হয়ে যায়। এটাও খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। প্রথমবার স্টেজে উঠে কথা বলতে গিয়ে অনেকের ভয়ে পা কাপে। যখন ভয়ের ব্যাপারটা বুঝতে পারে, তখন ভয়ের মাত্রাটা বাড়তে থাকে। তাই যতটা সম্ভব নিজের ভেতর কনফিডেন্স ধরে রাখতে হবে।
ভয়ের সম্মুখীন হওয়া

আপনি যে জিনিসকে ভয় পাচ্ছেন, সেটা থেকে যত পালিয়ে বেড়াবেন বা দূরে থাকতে চাইবেন, সেই ভয় ততটা আপনাকে ঘিরে ধরবে। এভাবে আপনার প্যানিক এটাক হওয়ার চান্স থাকবে। তাই ভয়ের সম্মুখীন হোন। যে ভয়ের জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাকে মোকাবিলা করতে শিখুন।
এখানে দেওয়া ভয় দূর করার উপায়গুলো অনুসরণ করলেই আপনি ভয় থেকে দূরে থাকবেন। নিজেকে ভালবাসুন, নিজের জন্য সময় ব্যয় করুন।
আরো পড়ুন পড়া মনে রাখার উপায়। ১৫টি গোপন কৌশল
এটি দেখুন আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, সতর্কতা।
আরেকটি আর্টিকেল নিম পাতার উপকারিতা। মহা ঔষধ নিম পাতা

পাঠক, লেখক, ইতিবাচক চিন্তাবিদ, আশাবাদী, সংগঠক, দেশপ্রেমিক।
Great post.