বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শুরুতেই কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, ২০২০-২১ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু সকল ছাত্রছাত্রীদের জানাই শুভেচ্ছা এবং স্বাগতম।আশা করি সবাই ভালো আছো এবং ভালো প্রিপারেশন নিচ্ছো।আজকে তোমাদের সাথে আলোচনা করবো- বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা তে কোচিং এর গুরুত্ব নিয়ে; প্রথমেই বলব পরিবেশ ছাড়া পড়াশোনাটা বেমানান।যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিবে তাদের খুব ভালোভাবেই প্রিপারেশন নিতে হবে।কারণ সে এক যুদ্ধক্ষেত্রে নামতে যাচ্ছে যেখানে তার সাথে হাজারো যোদ্ধা যুদ্ধ করবে।তাই নিজেকে সাজাতে হবে সবার চেয়ে আলাদা করে।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কেন কোচিং গুরুত্বপূর্ণ
কোচিং একটা প্ল্যাটফর্ম,কোচিং কখনোই কাওকে চান্স পাওয়াইয়া দেয় না,কোচিং স্বপ্ন দেখাতে পারে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য কিছু সুন্দর রাস্তা তৈরী করে দিতে পারে,সেই রাস্তায় সঠিকভাবে এগিয়ে গেলে তুমি তুমার সফলতা খুজে পাবে। এবার প্রশ্ন থাকে কোচিং কিভাবে সাহায্য করবে?উত্তরঃ কোচিং এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে কিছু মেধাবী শিক্ষক(বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র) তোমাদের ক্লাস নিবে এবং হাতে কলমে বুঝিয়ে দিবে কিভাবে কি করলে চান্স পাওয়াটা সহজ হয়।
সেখানে কিছু ডিসিপ্লিন থাকে যার দরুন তোমাকে তুমি নিজেকে গড়ার মত সাহস পাবে, কোচিং এর প্রত্যেকটা ক্লাস তোমার নতুন থাকবে এবং শেখার আগ্রহ তৈরী করে দিবে,সেখানে মেধাবী শিক্ষকের সান্নিধ্যে নতুন করে স্বপ্ন দেখার আগ্রহ বাড়বে, নিজেকে যাচাই করা সুযোগ পাবে,প্রতিদিন ক্লাস টেস্ট এবং সাপ্তাহিক মূল্যায়ন পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে যাচাই করতে পারবে। কোচিং-এ থাকে সিলেবাস অনুযায়ী সাজানো তথ্য ও প্রশ্ন এবং আয়ত্ব করার টেকনিক,যার ফলে তুমি প্রিপারেশন নিতে বিরক্তিবোধ করবেনা এবং তোমার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করবে।ল্যাকচার গুলোতে প্রতিদিনের জন্য নির্দিষ্ট পড়া থাকে, ফলে তুমি বুঝতে পারবে তোমার কতটুকু পড়া উচিৎ। আর সেই টার্গেট ফিলআপ হয়ে গেলে তুমি নিজের কাছে নিজে উৎসাহ পাবা।
আমি আর একটা কারণে কোচিং করা উচিৎ বলে মনে করি,তা হলো একটা চাপে থাকা যায়।বাঙ্গালী জাতি প্রচুর অলস, কিন্তু চাপে পড়লে সব সম্ভব করতে পারে,তাই আমরাও সেই একই স্বভাবের,কোচিং না পড়লে যা হবে তা হলো ; প্রথম ১০-১৫ দিন খুব একটা ঝোক থাকবে পড়াশোনার তারপর আবার হ্যাং হয়ে যাবে,বিরক্ত চলে আসবে,চাপ থাকবেনা,ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা তা দূর্বল হয়ে যাবে।একসময় ঝড়ে যাবে আর সময় শেষে যখন আবার দাড়াতে চাইবে দেখবে হাটু ভেঙ্গে পড়ে গেছো।কারণ যতই পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে আসে ততই ভয় তৈরী হয় এবং বেশি ডিপ্রেশন কাজ করে।তাই এমন যেন না হয় সেজন্য অন্তত চাপে থাকার জন্য হলেও কোচিং এ ভর্তি হওয়া উচিৎ।
শেষ কিছু কথা
তোমাদের আরো একটা বার্তা দেই; তা হলো এডমিশন টেস্টের প্রায় একমাস আগে সকল কোচিং এ কয়েকটি মডেল টেস্ট নেয়,অনেকেই আরো বেশি পড়ার জন্য পরীক্ষায় মনযোগ দেয়না বা পরীক্ষা দেয় না,এটা আসলে একটা ভূল ধারণা। মডেল টেস্টগুলোতে এটেন্ড করা জরুরি, ব্যাক্তিবিশেষে অন্য ফল হতে পারে তবে আমি সর্বসাধারণের কথা চিন্তা করেই লিখলাম।এডমিশন টেস্টগুলো দিলে এক মাস আগে নিজের পজিশন বুঝতে পারবা।সেই সাথে আরো একটা বড় অর্জন হবে,টাইম মেইন্টেইনিং অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে তুমি প্রশ্নগুলো আন্সার করতে পারবা কিনা তা আন্দাজ করতে পারবা,এবং কোন প্রশ্নগুলো আগে বা পরে দেওয়া উচিৎ তা বুঝতে পারবা।সর্বোপরি তুমি তোমার নিজের দূর্বলতা গুলো খুজে বের করতে পারবা।
এভাবে কোচিং এর কিছু নিয়ম তোমাকে সঠিক যোদ্ধা হিসেবে প্রস্তুত করে দিবে।তাই বলি অল্প কিছু টাকার জন্য কোচিং বাদ দেওয়াটা ঠিক না,তাই বুঝে শুনে একটা ভালো কোচিং এ ভর্তি হয়ে যাও,কোচিং নির্বাচনে সতর্ক থাকবা,কোচিং এর ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে জেনে তারপর ভর্তি হইয়ো। ভালো থেকো,সুস্থ থেকো এবং সফলতার পথে এগিয়ে যাও,তোমাদের জন্য সবসময় দোয়া রইলো।
ধন্যবাদ,
@-মিলন শেখ
লোকপ্রশাসন বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আরোও জানতে ভিজিট
প্রয়োজনীয় গানের লিরিক্স খুজুন

অনলাইনে লিখতে ভাললাগা থেকেই এই ব্লগে নিয়মিত লিখে যাচ্ছি। এভাবে নিয়মিত কন্ট্রিবিউট করে যেতে চাই।