গোরা উপন্যাস রিভিউ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চরিত্র, সারাংশ, সারমর্ম।

গোরা উপন্যাস

উপন্যাস নামগোরা
লেখকরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রকাশনা১৯০৯
পৃষ্ঠা সংখ্যা৩২৪
গোরা উপন্যাস ইনফো টেবিল

গোরা তখনকার সময়ে লিখা যখন ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেনি। ইংরেজি চালচলন তথা ইংরেজি সংস্কৃতির প্রভাব তখন ভারতবর্ষে একটু একটু করে প্রভাব ফেলতে শুরু করছিল তখনকার সময়ের লেখা “গোরা”

চরিত্র

‘গোরা’রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহাসিক সৃষ্টি। ‘গোরা’ গল্পের গোরা এক ঐতিহাসিক চরিত্র যার গোঁড়ামি একটু বেশিই।নামের সাথে গোঁড়ামিতার ও মিল খুঁজে পাওয়া যায়। গোরার বন্ধু বিনয়, শুধু বন্ধু বলে ভুল হবে -গোরা আর বিনয়ের মনের টান আপন ভাইয়ের ভালোবাসাকেও হার মানাতে বাধ্য। গোরার মাকে বিনয় নিজের মার মতো ভালোবাসে কারণ বিনয়ের নিজের মা নেই। গোরার মাকে বিনয় ‘মা’বলে ডাকে। গোরার মা আনন্দময়ী ও বিনয় কে নিজ ছেলের মতন ভালোবাসেন। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার,আচার-আচরণ এর মধ্য দিয়ে যেতে দেখি আমরা গোরা উপন্যাস এর বিভিন্ন চরিত্র কে। তাদের নিজ ধর্মীয় জাত কে কিভাবে তারা সবার উপরে স্থান দিয়েছে সেটাও দেখতে পারি।আবার উপন্যাসের দুই চরিত্র গোরা এবং বিনয়ের মাঝে স্বদেশপ্রেম ও সুন্দর করে ফুটে উঠেছে। গোরা উপন্যাসে আমরা অনেকগুলো চরিত্র দেখতে পাই। তার মধ্যে গোরা,বিনয়,আনন্দময়ী,সুচরিতা, ললিতা,পরেশবাবু,পানুবাবু, হরিমোহীনী দেবী উল্লেখযোগ্য।উপন্যাস এর শুরুর দিকে আমরা দেখতে পাই বাউল গান করে যাচ্ছে, “খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়, ধরতে পারলে মনোবেড়ি দিতেম পাখির পায়”

ভাল লাগা

এমনি সুন্দর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ‘গোরা’উপন্যাস। ‘গোরা’ উপন্যাস কে আপনি দুই বন্ধুর গল্প ও বলতে পারেন আবার দুই বন্ধুর প্রেমের কাহিনি ও বলতে পারেন আবার গোরার অতিরিক্ত গোঁড়ামির কাহিনী ও বলতে পারেন। আপনি কোন ক্যাটাগরিতে ‘গোরা’উপন্যাস টিকে রাখতে চাইবেন সেটা একান্তই আপনার নিজস্ব ভাবনা। তবে পাঠক বিভিন্ন রকম অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাবে ‘গোরা’উপন্যাসটিতে সে নিঃসন্দেহে বলা যায়। পাঠকের একঘেয়েমি ও লাগতে পারে ‘গোরা’উপন্যাসটিকে কারণ রবীন্দ্রনাথ তো বড়ই শক্ত।

সারাংশ

গোরা, বিনয়,সুচরিতা,ললিতার মাঝের রসায়ন ও মারাত্মক আকর্ষণীয়। জাতভেদ তাদের প্রেমে বাঁধা হয়ে দাড়ালেও বিনয় এবং ললিতা খুব সহজেই জাতপ্রথার বাঁধা অতিক্রম করে তাদের মন কে প্রাধান্য দিয়ে সমাজের যাবতীয় নিন্দাকথা কে অনায়াসেই জয় করে নেন।গোরা সম্পূর্ণ উপন্যাসে দ্বিধায় থাকে সুচরিতার প্রতি তার অনুভূতির সম্মন্ধে। গোরা পাছে জাত যায় এমন নানা রকম চিন্তা ভাবনায় সর্বদা নিজেকে জড়ায়িত করে রাখে। এক সময় গোরা প্রতিজ্ঞা করে নিজ জাতে অনঢ় থাকতে। কিন্তু এক সময় গোরা আলোর পথ দেখতে পায়। মুসলমান, হিন্দু, খ্রিশ্চান সকলের যদি এক দেবতা থাকতো, তবে সেই দেবতাকেই উপাসনা করতে চাইতো গোরা। আর ভেদাভেদ গোরা হয়তো চায় না। এক সময় সুচরিতার প্রতি তার মনের সঠিক অবস্থান বুঝতে পারে গোরা। গোরা তার আসল পরিচয় জানতে পারে। নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে গোরা। উপন্যাসের শেষে আমরা জাতিভেদ এর পরাজয়, ভালোবাসার জয় দেখতে পাই

গোরা উপন্যাস দাম

মূল্য -৩০০ টাকা মাত্র পৃষ্ঠা সংখ্যা -৩০৩

আরো পড়ুন

Leave a Comment