কুমিল্লা জেলা
কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থান বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত জেলার নাম কুমিল্লা।এটির আদি নাম ত্রিপুরা৷ ১৭৯০ সালে কোম্পানী শাসনামলে ত্রিপুরা নামের জেলার সৃষ্টি হয়।কুমিল্লা বাংলাদেশের দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলের অবস্থিত।এটি চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক জেলা।কুমিল্লা জেলার প্রতিষ্ঠা কাল ১৭৯০ সে হিসেবে এটি বাংলাদেশের প্রাচীন জেলাগুলোর মাঝে অন্য তম।কুমিল্লা জেলার মোট আয়তন ৩,০৮৭.৩৩ বর্গ কিলোমিটার।কুমিল্লার বুকে মেঘনা,গোমতী,তিতাস,ডাকাতিয়া নদী বয়ে গেছে।
কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান সমূহ তালিকা
নং | দর্শনীয় স্থান |
---|---|
১ | কোটবাড়ি |
২ | শালবন বৌদ্ধ বিহার |
৩ | লালমাই পাহাড় |
৪ | বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি |
৫ | কুমিল্লা সেনানিবাস |
৬ | কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় |
৭ | কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ |
৮ | কুমিল্লা জগন্নাথ মন্দির |
৯ | আনন্দ বিহার |
১০ | অভয় আশ্রম |
১১ | গোমতী নদী |
১২ | ধর্মসাগর |
১৩ | ময়নামতি |
১৪ | শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়াম |
১৫ | নবাব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ী |
কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান সমূহ
কোটবাড়ি

বাংলাদেশের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান কুমিল্লা কোটবাড়ি। কোটবাড়ি বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত পিকনিক স্পট।কোটবাড়িতে রয়েছে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট,কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। সহ আরো অনেক স্কুল ও প্রতিষ্ঠান।কোটবাড়ির শালবন বিহার,ময়নামতি জাদুঘর সহ আরে নানান ঐতিহাসিক জিনিস দিয়ে প্রসিদ্ধ।
কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থান শালবন বৌদ্ধ বিহার

শালবন বিহার বাংলার অতি প্রাচীন বিহার,এটি কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ি তে অবস্থিত।এটি ধারণা করা হয়ে থাকে যে খৃস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এ বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেছেন। এই বিহারে অসংখ্য কক্ষ ও বারান্দা রয়েছে। এই কক্ষগুলোথে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা থাকতেন।এটি তৎকালীন সময়ের বাংলার শিক্ষার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ছিলো।
লালমাই পাহাড়

লালমাই পাহাড় কুমিল্লা জেলার অন্যতম সুন্দর ও পর্যটক বহুল স্থান। প্রায় পঁচিশ লক্ষ বছর আগে প্লাইস্টোসিন যুগে এই পাহাড় গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। লাল মাটির কারণে এটির মূলত এ নামকরণ করা হয়।এটি কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলায় অবস্থিত।
ধর্মসাগর

ধর্মসাগর কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।তরুনদে কাছে এটি আড্ডার প্রাণকেন্দ্র।জানা যায় ত্রিপুরার অধিপতি মহারাজা প্রথম ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ সালে ধর্মসাগর খনন করেন।তার অনুসারে এটির নাম করা হয় ধর্মসাগর।এটি কুমিল্লার কান্দির পাড়ের নিকটে অবস্থিত।
কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলের বাংলাদেশের প্রাচীন বিদ্যাপিঠ গুলোর মাঝে অন্যতম। এটি কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এটি ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র রায় রানী ভিক্টোরিয়ার নামে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।দেশবরেণ্য অনেক মানুষের শিকড় এই প্রতিষ্ঠানে নিহিত রয়েছে।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলো।এই প্রতিষ্ঠানের ৩৩৪ জন ছাত্র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং তার মাঝে ৩৫ জন যুদ্ধে শহীদ হন।এই প্রতিষ্ঠানের স্থাপত্যশৈলী সবাই কে মুগ্ধ করে।
কুমিল্লা সেনানিবাস
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেনানিবাসটির নাম কুমিল্লা সেনানিবাস। এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এই এলাকার উপর সামরিক চেইন বজায় রাখার জন্য ব্রিটিশ ক্রাউন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।এটি বাংলাদেশের প্রথম ক্যান্টনমেন্ট।৭১ এর মাহান মুক্তিযুদ্ধের এটির গুরুত্ব ছিলো অপরিসীম। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বহু অস্ত্র এখানে রক্ষিত ছিল।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।এটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। এটি ময়নামতির শালবন বিহারের ৫০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত।এটির অবস্থানের কারণে এটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মানুষ বিমোহিত হয়।এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম বিশ্বরোডের পশ্চিম পাশে এবং কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৯ কি,মি পশ্চিমে অবস্থিত।

Hi,
I am Hossain Rakib. I have been writing on Jibhai for about 1 year. This is my site and I am a part of Jibhai.
Thanks