এলান মেথিশন টিউরিং – Alan Mathison Turing ;
The man who loved puzzle
সবার থেকে ভিন্ন হওয়া একটা অপরাধ। জানেন তো ? যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রমান করছেন অই “সবার” নামক শব্দটার উন্নতির জন্যই আপনি কিছু করছেন।
আজকে এমনি একজন ভিন্ন মানুষের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। “এলান মেথিশন টিউরিং অথবা এলান টিউরিং” হয়ত অনেকে চিনে থাকবেন। না চিনে থাক্লেও সমস্যার কারন দেখতে পাচ্ছি না , কারন লেখাটি পড়ার পরে হয়ত কিছু হলেও এই “সবার” সমাজের কাছে ভিন্নরুপি মানুষটিকে একটু হলেও চিনতে পারবেন।
“এলান টিউরিং” শব্দটাই ব্যাবহার করছি।
২৩ জুন, ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের লন্ডনে এই মানুষটি জন্মগ্রহণ করেন।
মধ্যবিত্ত বাবা-মা এর পরিবারে বেড়ে উঠা তার জন্য খুব একটা সুখের ছিল না কারন বাবার বেসামরিক কাজের কারণে ভারতে থাকতে হয় ১৯২৬ সাল পর্যন্ত। তিনি এবং তার ভাই কে লন্ডন এর বিভিন্ন শিশুকিশোর লালন-পালন কেন্দ্রে থাকতে হয় যেটা ছিল অনেকটা জন্মানোর সাথে সাথে কারাগার দর্শন এর মত।
যেখানে ছিল বন্দী জীবন, ছিল না কোন অভিব্যক্তি প্রকাশের মাধ্যম, না ছিল নিজের মত করে নিজের পরিবেশে বেড়ে উঠার সুযোগ।
কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও সেই ছোটবেলা থেকেই, বিজ্ঞানের প্রতি তার ছিল এক অন্য রকম আসক্তি , যা প্রকাশ পায় তার নিজ থেকে কিছু রসায়ন এর পরিক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে। তার এই বিজ্ঞানের প্রতি এত আগ্রহ দেখে তার মা খুব ভয় পেতেন কারন তার মনে হত তাকে ইংল্যান্ড এর কোন পাবলিক স্কুল এ ভর্তি করাতে পারবেন না।
কারন তখনকার দিনে বিজ্ঞান চর্চা ছিল ২য় শ্রেণীর চিন্তাভাবনার সমান।
কিন্তু তার মায়ের এই ধারনাকে ভুল প্রমান করে তিনি লন্ডনের Sherborne স্কুল এ ভর্তি হন। কিন্তু স্কুলের এই গদবাধা পড়ালেখা তার কখনওই ভাল লাগে নি। তার কাছে ক্লাস এর করানো অংক গুলো অর্থহীন মনে হত এবং সময়ের অপচয় বলে মনে হত। তিনি সবসময় নিজের মত করে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর পড়ালেখা করতে পছন্দ করতেন।
স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে ১৯৩১ সালে, অদম্য মেধাবি এই তরুন লন্ডনের কিংস কলেজ অফ ক্যামব্রিজ এ গনিত বিভাগে পরাশুনা করার সুযোগ পান এবং মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে তিনি কিংস কলেজের ফেলো নির্বাচিত হন।
এবার শুরু হল সেই টিউরিং এর পথ চলা , যা তাকে বিশ শতকের একজন সেরা বিজ্ঞানীতে রুপ দিয়েছিল। এই বছরই তিনি আবিষ্কার করেন abstract কম্পিউটিং মেশিন যা টিউরিং মেশিন বা ইউনিভার্সাল মেশিন নামেও পরিচিত যা ছিল আজকের ডিজিটাল মেশিন এর ভিত্তি।
১৯৩৬ -১৯৩৮ সালে টিউরিং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। এই সময়কালে তিনি নোশন অফ ইনশিওশন, রিকারশন থিওরি, Oracle abstract device নিয়ে বিশদভাবে কাজ করেন।
১৯৩৯ সাল । ২য় বিশ্বযুদ্ধ। ইংল্যান্ড এর সাথে জার্মানি যুদ্ধ ঘোষণা করল।
শক্তিশালী জার্মানির সাথে পেরে উঠা মুশকিল হয়ে পরছিল সব মিত্র দেশ গুলোর জন্য। কারন মাস্টারমাইন্ড হিটলার, আধুনিক অস্ত্র-সস্ত্র, উন্নত রেডিও বেবস্থা জার্মানিকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিল। ঠিক এমন সময়, এলান টিউরিং লন্ডনের বেলেচলি পার্ক রেডিও, বাকিমহামশায়ারে একটি চাকরির ইন্টার্ভিউ দিতে যান।
তাদের রেডিওতে কিছু ক্রিপ্টো গ্রাফার এর দরকার ছিল আর এলান টিউরিঙের এ বিষয় নিয়ে ছিল বিপুল আগ্রহ। কমান্ডার অয়েস্টিন সাথে এলান টিউরিং একটি ছোট ইন্টার্ভিউ জন্ম দিয়েছিল আজকের ইতিহাসের , কম্পিউটার জগতে এক চমকের।
প্রথমেই, কমান্ডার অয়েস্টিন ,টিউরিং এর বয়স এবং ফেলোশিপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
কারন কমান্ডার এলান কে একজন সাধারন গনিতবিদ হিসেবে গণ্য করেছিলেন এবং ২২ বছর বয়সে তার ইনিভারসাল মেশিন নিয়ে প্রকাশিত লেখা নিয়েও হাসি ঠাট্টা করেছিলেন। জবাবে এলান বলেছিলেন, দেখুন নিউটন ২২ বছর বয়সে বাইনোমীয়াল থিওরিয়াম আবিস্কার করেন ,আইনেস্টাইন এর চার পাতার লেখা পৃথিবী পরিবর্তন করে দিয়েছিল যখন তার বয়স ২৬।
তাই আমার মনে হয় আমিও মানসম্মত কিছু করতে পেরেছি । আরও বলেন ,আমার মা বলতেন আমি পৃথিবীর একজন অন্যতম সেরা গনিতবিদ হব এবং আশা করি আমি আমার আমার মায়ের কথার যথেষ্ট প্রতিফলন রাখতে পেরেছি।
এইরকম রোখা আচরনে কমান্ডার একটু রেগে যান এবং যখন জানতে পারেন যে এলান জার্মান ভাষাাই জানেন না তখন তিনি এলান কে বের হয়ে যেতে বলেন কারন হিসেবে কমান্ডার বলেন, যে কাজের জন্য তাদের ডাকা তার জন্য জার্মান ভাষা জানতেই হবে।
তখন এলান টিউরিং হুট করে বলে ফেলেন , আমাকে এখানে জার্মান এনিগমা কোড ভাঙার জন্য ডাকা হয়েছে।
কমান্ডার তো অবাক।তিনি টিউরিং কে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি এনিগমা সম্পর্কে কিভাবে জানেন । জবাবে এলান বলেন , এনিগমা হচ্ছে ইতিহাসের সবথেকে জটিল কোড , আর খুব সাধারণতই সবাই সেটা ভাঙার চেষ্টা করছে । আর এনিগমা হচ্ছে একটা ধাঁধা এর মত এবং আমি ধাঁধার সমাধান করতে পছন্দ করি তাই আমাকে একবার চেষ্টা করার সুযোগ দিন।
অনেকেই হয়ত ভাবছেন এই এনিগমা টা আবার কি ? তাহলে চলুন এনিগমা নিয়ে একটু ধারনা নেই–
এনিগমা– এনিগমা ছিল একটি সাইপার মেশিন । যার মাধ্যমে জার্মানরা কোড আকারে রেডিও সিগন্যাল পাঠাতো তাদের সৈন্যদের কাছে। কিন্তু এনিগমা কোড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে কঠিন কোড যা কেউ আগে সমাধান করতে পারে নি।
এনিগমার এই বার্তা বোঝার জন্য আগে এনিগমার সেটিংস বোঝা জরুরি ছিল কিন্তু জার্মানরা প্রতিদিন এটি পরিবর্তন করত এবং প্রতিদিন এর হিসেব করলে, প্রায় ১৫৯ মিলিয়ন কম্বিনেশন সম্ভব ছিল যেটা ভাঙা ছিল একেবারেই অসম্ভব। আর জদি ১০ জন করে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা করেও কাজ করত তাহলেও একটি কোড ভাঙতে বেশি নয়, ২০ মিলিয়ন বছর লেগে যেত। ভাবুন একবার।
কিন্তু সেখানে মাত্র ছয় জনের একটি দল গঠন করা হয়, এনিগমা এর সমাধান করার জন্য। প্রথমে হিউ এলক্সজান্ডার নামক এক দাবারু চ্যাম্পিয়ন কে এই টিম এর প্রধান করা হয়। কিন্তু টিউরিং শুরু থেকেই একা কাজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব ছিল না জাতীয় নিরাপত্তার কারনে। কাজ শুরু করার প্রথম থেকেই এলান বুঝতে পেরেছিল যে কোন এলগরিদম বা এর সেটিংস নিয়ে কাজ করলে কোন লাভ হবে না ।
এমন একটি মেশিন ডিজাইন করতে হবে যা সহজেই এনিগমার সকল কোড ভাঙতে সফল হবে খুব কম সময়ে।
তাই তিনি দলে থাকলেও আলাদা হয়ে নিজের মত করে মেশিন ডিজাইন করা শুরু করেন।কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় দলের অন্যান্য সদস্যরা। তারা কমান্ডারের কাছে এলান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। জবাবে এলান কমান্ডারকে তাদের চেষ্টা বৃথা বলে জানান এবং প্রস্তাব করেন যে তার ডিজাইন এর মেশিন বানাতে ১ লক্ষ পাউন্ড দরকার।
কমান্ডার তার এর প্রস্তাবকে না করে দেন কারন তখনকার সময়ে ১ লক্ষ পাউন্ড একটি মেশিন বানানোর জন্য একটি হাস্যকর প্রস্তাব ছিল। নাছোড়বান্দা এলান এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল এর কাছে চিঠি লিখে বসেন তার এই মেশিন এর ব্যাপারে। অবাক হলেও সত্যি যে চার্চিল তার এই প্রস্তাবকে সমার্থন জানান এবং এলানকে দলনেতা করার জন্য কমান্ডারকে নির্দেশ দেন।
প্রথমে সবাই অমত পোষণ করলেও আস্তে আস্তে এলান এর কর্মদক্ষতা এবং মেধা দেখে সবাই অবাক হয়ে যায় এবং সবাই আস্তে আস্তে তাকে সাহায্য করতে থাকে ।
২ বছর কাজ করার পরে তারা মেশিন টি বানাতে সক্ষম হন ।
তারা প্রথম যে মেসেজটি ভাঙেন সেটি ছিল ব্রিটিশ প্যাসেঞ্জার কনভয় এর একটি আক্রমনের বার্তা । তবে আসল কাহিনী তখন থেকেই শুরু হয় । কারন কোডটি ব্রেক করার পর দলের সদস্যরা যখন কমান্ডার অয়েন্সটীন কে জানাতে চায় , তখন এলান জানাতে বারন করেন।
সবাই অবাক হলেও এলান এর যুক্তি ছিল যে তারা জদি এই আক্রমন টা প্রতিরোধ করেন তাহলে জার্মানরা রাতারাতি মেশিন এর সেটিংস পরিবর্তন করবে কারন এলান এর এই মেশিনটি বর্তমান সেটিংস এর উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছিল। পরে সবাই বেপারটি বুঝতে পারেন এবং তার এই প্রস্তাবকে সম্মতি জানান।
এরপর সবাই মিলে ঠিক করেন তারা কোড ব্রেক করার ব্যাপারটি এম আই ৬ এর তৎকালীন এজেন্ট মেঞ্জিসকে জানাবে যে কিনা শুরু থেকেই এই প্রজেক্ট এর সাথে যুক্ত ছিল।
এলান তার কাছে এই প্রস্তাবটি করেন যে , সকল কোড ব্রেক হবে এম আই ৬ এর আন্ডারে এবং তারা ঠিক করবে যে কোন আক্রমণটি তারা প্রতিরোধ করবে । কারন সব আক্রমন প্রতিরোধ করা শুরু করলে জার্মানরা তাদের মেশিন এর মুল সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলত। এজেন্ট মেঞ্জিস এলান এর এই কথা ভালভাবে বুঝতে পারেন এবং সে এলান এর কথায় সম্মতি জানায়। আর কমান্ডার অয়েস্টীন এর কাছে তারা এই কথা গোপন রাখেন।
একটি সিক্রেট প্রোগ্রাম আরও সিক্রেট আকার ধারন করে এই সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে। এটাই ছিল মূলত এনিগমা ব্রেক এর কাহিনী। তাহলে এত বড় সিদ্ধান্ত গোপন রাখা এবং ২য় বিশ্বযুদ্ধে এর কি প্রভাব ছিল ? শুধুমাত্র এনিগমা ব্রেক করার ফলে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল ২ বছর কমে গিয়ছিল এবং আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী প্রায় ১৪ মিলিয়ন মানুষের প্রান বেঁচে যায়। অবাক লাগছে ?
কিন্তু এটাই সত্যি। তাহলে তো এলান টিউরিং একজন হিরো , দেশপ্রেমিক। আচ্ছা এলান টিউরিং হিরো না ভিলেন সে বিষয়ে একটু পরে আসি ।
এবার আসি এলান এর বাক্তিগত জীবন নিয়ে।
যুদ্ধ শেষে এলান আগেরমতই নিজের বানানো মেশিন নিয়ে কাজ করতে থাকে। তার স্বপ্ন ছিল এমন একটি মেশিন এর যে পৃথিবীর সব সমস্যা সমাধান করতে পারবে, বারবার প্রোগ্রাম করার জন্য ব্যাবহার করা যাবে মানে সব মিলিয়ে একটি ইলেকট্রনিক ব্রেইন বা ডিজিটাল কম্পিউটার। অবাক হচ্ছেন ?
অবাক হওয়ার কিছু নেই কারন ডিজিটাল কম্পিউটার এর ধারনা প্রথমে তার মাথাতেই এসেছিল এবং পরবর্তীতে এই টিউরিং মেশিন থেকেই ডিজিটাল কম্পিউটার এর ধারনা এসেছিল।শুধুমাত্র গনিত বা পদার্থবিদ্যা নয় জীববিজ্ঞানেও ছিল তার এক বিশাল অবদান ।১৯৫২ সালে মরফোজেনেসিস নিয়ে এক অসাধারন কাজ গাণিতিক জীববিজ্ঞান এ এক নতুন ক্ষেত্র তৈরি করে। যেটি ছিল একটি গাণিতিক ব্যাখ্যা যার মাধ্যমে তিনি দেখান যে কিভাবে একটি প্রাণীদেহ বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও তিনি কাজ করেছেন রসায়ন ও নিউরোবায়োলজি নিয়ে।
এলান টিউরিং একজন সমকামী ছিলেন এবং ১৯৫১ সালে সেটা জানাজানি হয়। আর অই সময়ে সমকামিতা ছিল ভয়ঙ্কার অপরাধ। তাকে আদালতের সম্মুক্ষিন হতে হয় । আদালত এলানকে ২ টি অপশন দেন এবং তা থেকে ১ টি বেছে নিতে বলেন। প্রথম অপশন ছিল —-
১। দুই বছর এর জন্য জেলে যেতে হবে এবং ২য় অপশন ছিল
২। হরমোনাল থেরাপি নিতে হবে । যার মাধ্যমে তার পুরুষত্ব আস্তে আস্তে লোপ পাবে।
কি ভাবছেন ? এলান কোন সিদ্ধান্ত টি বেছে নিয়েছিলেন ? জেকোন কেউ হলে ১ম অপশন টি ই বেছে নিতেন। কিন্তু এলান টিউরিং ২য় অপশন টি বেছে নিয়েছিলেন। কারন হিসেবে তিনি বলেছিলেন আমাকে তো জেলে বসে আমার মেশিন নিয়ে থাকতে দিবে না । আর আমি আমার মেশিন এর সাথেই থাকতে চাই ।
কতটুকু পরিমান কাজের প্রতি ভালবাসা থাকলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় ,ভাবুন একবার।
এভাবে ১ বছর থেরাপি নেওয়ার পরে এলান আস্তে আস্তে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরেন । সবশেষে ১৯৫৪ সালের ৭ই জুন তিনি সায়ানাইড খেয়ে আত্ত হত্যা করেন। হু ঠিকই ধরেছেন এইভাবেই শেষ হয় ২০ শতকের একজন অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী ।
এত কিছু যিনি আমাদের জন্য করেছেন এই আলান টিউরিং এর নাম আমরা কিন্তু তেমন শুনিই নি । কারন জানেন ?
কারনটা হল ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স এটা প্রকাশই করেন নি। অবাক হচ্ছেন তো ? এটাই সত্যি । প্রায় ৬০ বছর ধরে এই মানুষটি অসামান্য কাজের সম্পর্কে কেউ কিছু জানতেই পারেননি।
কারন হিসেবে কেউ কেউ হয়ত বলবেন তিনি দেশদ্রোহী কারন , তিনি সব তথ্য সরকার এর কাছে না দিয়ে সিক্রেট এজেন্সির কাছে দিয়েছেন যারা আরও গোপনভাবে এই বেপারটি নিয়ন্ত্রন করেছেন।
আবার কেউ কেউ তাকে দেশপ্রেমিকও বলবেন কারন জার্মানরা সেটিংস পরিবর্তন করলে হয়ত এলান টিউরিং এর নাম মানুষ এর মুখে মুখে থাকত কিন্তু বাঁচানো যেত না ১৪ মিলিয়ন মানুষ এর জীবন। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড এর রানি তাকে স্বীকৃতি প্রদান করেন। এলান টিউরিং দেশপ্রেমিক না দেশদ্রোহী তা না হয় আপনাদের উপরেরই ছেড়ে দেওয়া হল।
আজ ব্রিটেনে সমকামিতা বৈধ। তাহলে কি এলান টিউরিং ভুল সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?
কতগুলো বেখেয়ালি প্রশ্ন মনের ভিতর ঘুরপাক খেতে থাকে। আমাদের তৈরি করা নিয়মই কোন মানুষকে উপরে তুলে দিচ্ছে নিমিষে। আবার উঠতে থাকা কাউকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে মাটিতে।
সব কিছু আর একবার ভাবতে শুরু করলে নিজেকে কোন এক গোলকধাঁধার অচেনা গলির পথচারী মনে হয়।

অনলাইনে লিখতে ভাললাগা থেকেই এই ব্লগে নিয়মিত লিখে যাচ্ছি। এভাবে নিয়মিত কন্ট্রিবিউট করে যেতে চাই।