ই কমার্স কি ?
ই-কমার্স মানে হচ্ছে তারবিহীন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবকে ব্যবহার করে, সময় লাঘব করে বিশ্বস্ততার উপর ভিত্তি করে কোনো ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করা। এই ব্যাবসায় কার্যক্রম পরিচালিত হয় যেকোনো প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে।
ই কমার্স সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা
ই-কমার্স এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে অনুন্নত বিশ্ব উন্নয়নশীল এবং উন্নয়নশীল বিশ্ব উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে চলছে। কোনো একটি দেশ এগোনোর প্রথম ও প্রধান শর্ত থাকে, সে দেশে কত শতাংশ জনসংখ্যা কর্মক্ষম। আর অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানুষজনের চিন্তার বিকাশ ধীরে ধীরে হলেও, উদ্যোগতারা অর্থ ও বিভিন্ন আনুষঙ্গিক পরিস্থিতির বিবেচনায় নানা ধরনের বাধা বিপত্তিতে পড়তে হয়। আর সব থেকে বড় ব্যাপার হলো সেখানে কর্মসংস্থান থাকে অত্যন্ত সীমিত। কিন্তু আধুনিক বিশ্ব মানুষের জীবনযাত্রাকে এতই সহজ করে দিয়েছে যে অল্প অর্থ আর নিজের পরিশ্রম এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে হতে পারে অন্যের জন্য আইডল। ঠিক সেরকম একটি প্ল্যাটফর্মই হলো ই-কমার্স। এখানে তরুণ উদ্যোগতারা তাদের স্বল্প মূলধনকে পুঁজি করে ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে একটি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে দাড় করাতে পারে তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান।
একবিংশ শতকে এসে আমাদের বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এই সেক্টরগুলোর দিকে খুব অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী তাদের নিজেকে, পরিবারকে এবং সর্বপুরি দেশকে সাপোর্ট দিতে সক্ষম হচ্ছে এবং অন্য অনেকেরই এসকল প্রতিষ্ঠানে কর্মসস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। তবে আমাদের দেশের মত এরকম উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় এখনো বিপুল আকার ধারণ করতে পারে নি। আর বাংলাদেশে ই কমার্স সব থেকে বড় বাধা হলো, গ্রাহক সর্বদা পণ্যের মান নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে সকল বাধা অতিক্রম করে গ্রাহকদের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারলে আপনিও হতে পারেন সফল উদ্যোগতাদের মধ্যে একজন।
কিছু ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের নাম হলো
- বিক্রয়.কম
- দারাজ.কম
- ইভ্যালি.কম
- রকমারি.কম
- এখনি.কম
- আইটিবাজার২৪
- ইজিটেক
- ই-বে
- প্রিয়শপ.কম
- ক্লিকবিডি
- ইটঅফারবিডি.কম
আরো অনেক অঞ্চল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত তাদের সার্বিস দিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জনের মাধ্যমে অনেক বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।
ই কমার্স যে যে ধরণের হয়ে থাকে
সার্ভিস প্রদানের উপর ভিত্তি করে ই কমার্সকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করা যায়। যেমনঃ ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা (B to B): একাদিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংগঠিত ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে এর আওতায় আনা হয়। দেশের প্রায় ৭০ শতাংশের উপরে ই কমার্স বি টু বি এর অন্তর্ভুক্ত।
ব্যবসা থেকে ভোক্তা (B to C)
এ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের পণ্য সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌছে দেয়। ব্যবসা থেকে সরকার(B to G): ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে রাষ্ট্রীয় কোনো লেনদেনকে এর আওতায় আনা হয়। যেমন, লাইসেন্স সংক্রান্ত কার্যাবলি, কর প্রদান ইত্যাদি।
গ্রাহক থেকে গ্রাহক(C to C)
গ্রাহকদের মধ্যেই যখন ই-বানিজ্য সম্পাদিত হয়, তখন তাকে গ্রাহক থেকে গ্রাহক বলা হয়। নিলাম সংক্রান্ত বাণিজ্য সাধারণত এধরণের হয়ে থাকে। মোবাইল কমার্স(m-commerce): তারবিহীন যেকোনো তথ্য আদান-প্রদান বা অর্থ আদান-প্রদানকে এই খাতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেমন, মোবাইল ব্যাংকিং। বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে এ ব্যবস্থা পরিচিত।
ই কমার্স ব্যবসা পরিকল্পনায় কৌশলগত বিষয়বস্তু
১. ওয়েবসাইট তৈরি;
২. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও);
৩. প্রোডাক্ট বা কনটেন্ট মার্কেটিং;
৪. প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ডিং;
৫. বিজ্ঞাপন;
৬. ছবি তোলা, অডিও-ভিডিও ধারণ ও তা আপলোড করার দক্ষতা;
৭. পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা;
৮. পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা;
৯. ভোক্তার সাথে অটোমেইল কানেক্টিভিটি;
ই-কমার্সের প্রধাণ উপাদান হিসেবে ওয়েবসাইট তৈরি
ই কমার্স ব্যবসা সুপরিচিতি লাভের জন্য বিভিন্ন ধরণের সামাজিক মাধ্যম বেশ পরিচিত। যেমন কিছু জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে অন্যতম হলো ফেইসবুক,টুইটার,ইন্সটাগ্রাম সহ আরো অনেক। তবে বর্তমানে হাজার হাজার ই-কমার্স ব্যবসায় প্লাটফর্মের ভিড়ে আপনার পেইজটি তেমন বিশ্বস্ততা অর্জন করবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আপনার ব্যবসাকে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত করতে হলে দরকার একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট। একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরিতে যেসকল বিষয় লক্ষ রাখা দরকার সেগুলো হলো: ১. ডোমেইনের নাম পছন্দ করা; ২. হোস্টিং ও ডোমেইন ক্রয়; ৩. ওয়েবসাইট তৈরির জন্য একটি ভালো মানের প্ল্যাটফর্ম নির্ধারণ ; ৪. ওয়েবসাইট তৈরি এবং এর নিরাপত্তা।
ফ্রি ব্লগ সাইট (free blog site): ইনকাম কিভাবে আসে ব্লগার থেকে আর্টিকেলটি পড়তে ক্লিক করুন