অনলাইন বিজনেস কিভাবে শুরু করা যায়? সঠিক পদক্ষেপ শুরু থেকে লাভ

অনলাইন বিজনেস বা অনলাইন ব্যবসা

অনলাইন বিজনেস আলোচনা

  • অনলাইন ব্যবসা কিভাবে শুরু করা যায়?
  • কত টাকা মুলধন হলে ভালোভাবে শুরু করা যাবে?
  • মুলধন পরিমিত হলে ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
  • কোন পণ্যগুলো বিক্রি অনলাইনে সহজেই করা যাবে?
 অনলাইন বিজনেস
অনলাইন ব্যবসা রূপক ছবি

অনলাইন বিজনেস টিপস

প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী, এই যদি আপনার প্রশ্ন হয়ে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। মনযোগ ও ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন আশা করি আপনারা সুস্পষ্ট উত্তর পেয়ে যাবেন।

অনলাইন বিজনেস নিয়ে কিছু কথা

বর্তমানে সবচেয়ে সহজ ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ ব্যবসা প্লাটফর্ম হচ্ছে অনলাইন। যেহেতু এটি সহজ প্লাটফর্ম সুতরাং সবাই চায় এই প্লাটফর্মে ব্যবসা করতে। কিন্তু এই প্লাটফর্মে ব্যবসা যতটা সহজ ততটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ। একই ধরণের পণ্য বিভিন্ন দামে পাচ্ছে ক্রেতা/ভোক্তারা। আপনার পণ্যটি যতই ভিন্ন হোক না কেনো যেকোনো সময় আপনার প্রতিযোগি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এই পণ্য বাজারে আনতে পারে। তাই এই প্লাটফর্মকে সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলা হয়ে থাকে যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রে।

অনলাইন ব্যবসা কিভাবে করা যায়?

১। যেভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করবেন

অনলাইন ব্যবসা ই কমার্স সাইট খোলা
অনলাইন ব্যবসা

ই-কমার্স ওয়েবসাইট খোলার মাধ্যমে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনার মূলধন বেশি প্রয়োজন হবে। কারণ, আপনার ওয়েবসাইট বাজারে পরিচিতি বাড়ানোর জন্য পেইড প্রোমোশন করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার বেশি টাকা প্রয়োজন। তারপর ওয়েবসাইট মেন্টেনেন্সের খরচ। একজন স্পেশালিস্ট লাগবে কিংবা ফ্রিল্যান্সার দিয়েও কাজ করাতে পারেন। যদি আপনি আপনার ব্যবসা সম্পুর্ণ প্রফেশনালি করতে চান তাহলে এই সেক্টরটি আপনার জন্য।
** সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেঃ ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম অর্থ্যাৎ সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তরুন উদ্যোক্তার জন্য সবচেয়ে লাভজন ই-কমার্স প্লাটফর্ম হিসাবে বিবেচিত হয় এই সোস্যাল মিডিয়া। কারণ, ফেসবুক ব্যবসা করার জন্য একটি ই-কমার্স সাইটের যা যা প্রয়োজন সেসকল সুবিধা দিচ্ছে যাতে ব্যবসায়ীরা সহজেই এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে। এমনি কি পেজের সকল সিকিউরিটি সুবিধা পর্যন্ত ফেসবুক দিচ্ছে। পেজে কোনো সমস্যা হলে ফেসবুক অতি গুরুত্বের সাথে দেখে।

** প্রথমে বলে দিয়েছি ই-কমার্স সাইট তৈরি করে কেউ ব্যবসা করতে চাইলে তার ব্যবসায়ী মূলধন অনেক বেশি হতে হবে। তাই আজকে আমরা সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কিভাবে স্বল্প পুজিঁ উদ্যোক্তাগণ লাভবান হতে পারেন সেই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

**প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ খুলে নিতে হবে। কিভাবে খুলবেন তা ইউটিউবে “How to create a facebook page” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। নতুন পেজ যেহেতু খুলেছেন তাই ক্রেতার বিশ্বস্থতা অর্জন করার জন্য পেজের লাইক-ফলোয়ার বাড়ান (নিজের ফ্রেন্ডের ইনভাইটেশন দিয়ে, বিভিন্ন গ্রুপে নিজের পেজ শেয়ার করে ইত্যাদি মাধ্যমে)। পণ্যের সম্বন্ধে পোস্ট কর‍তে থাকুন নিয়মিত যাতে কেউ পেজ ভিজিট করতে এসে বুঝতে পারে এইটা চলমান ব্যবসা। আপনার কাছে যদি একাধিক পরিমাণে পণ্য থাকে তাহলে ফেসবুক শপের মাধ্যমে প্রদর্শণ করুন, যাতে কোনো নতুন ভিজিটর এসে নিচে স্ক্রল/ কস্ট করে ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ দিয়ে জানতে না চায় আপনার কাছে কি পণ্য সহজলভ্য আছে। পুরোপুরি প্রফেশনালী করে ফেলুন নিজের ফেসবুক পেজকে। যথাসম্ভব, ক্রেতার ম্যাসেজ-পোস্টে কমেন্ট করার সাথে-সাথে রিপ্লাই দিবেন এতে ক্রেতা আরও বিশ্বস্থতা আসে পেজের উপর এবং পণ্য কিনতে আরও আগ্রহী হয়।

২। মূলধন কত নিয়ে অনলাইন বিজনেস করবেন তা নির্ভর করছে আপনার পণ্যের উপর। কয়েকটা বিষয় সব সময় মাথায় রাখতে হবে

 অনলাইন বিজনেস এ মূলধন
অনলাইন ব্যবসায় মূলধন


i) কয়েক ধরণের ব্যয় এককালীন করতে হবে এর মধ্যে কম্পিউটার/মোবাইল/ল্যাপটপ। কম্পিউটার/ ল্যাপটপ থাকলে সবচেয়ে বেশি ভালো কারণ কোনো কোনো সময় মোবাইল দিয়ে সব কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। এইটা ব্যবসা আরম্ভ করলেই বুঝতে পারবেন। পারলে একটা রুমের মধ্যে অফিসের মতোন সাজিয়ে ফেলা (যেমন- চেয়ার, টেবিল যদি কম্পিউটার থাকে)।


ii) ইন্টারনেট সুবিধা। উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেটসহ ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকলে বেশি ভালো হয়।


iii) পোস্ট নিয়মিত বুস্টিং এর জন্য একটা বাজেট রাখা


iv) পণ্য প্যাকেজিং এর ব্যবস্থা করা। যাতে পণ্য হাতে ক্রেতাগণ খুশি থাকে আপনার পেজের প্রতি। এই ওরাল মার্কেটিং ভালো হয় এবং সময়মত যদি পণ্য হাতে পায় ক্রেতা তাহলে আপনার পেজের নিয়মিত ক্রেতায়/ অর্গানিক কাস্টমারে রূপান্তরিত হবে।

৩। পরিমিত মূলধণ থাকলেই ব্যবসায় লাভ হবে এই ধারণা নিয়ে ব্যবসা করাটা ঠিক নয়।

ব্যবসায় অসফল হওয়ার পিছনে সর্বপ্রথম দায়ী হচ্ছে কৌশলতা। কারও স্ট্রেটেজিতে ভুল থাকে তাহলে ব্যবসায় অসফলতা আসতে পারে। তাই স্ট্রেটেজি নিজেকেই ডেভেলপ করতে হবে। এই পোস্টে অনেক স্ট্রেটেজির কথা বলে দেওয়া হয়েছে। যদি ভালো ভাবো পোস্টটি আপনারা পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন আশা করি।

৪। যে পণ্য নিয়েই অনলাইন বিজনেস শুরু করেন না কেনো আগে আপনাকে মার্কেট রিসার্চ করে নিতে হবে।

পণ্য বাচাই অনলাইন ব্যবসায়

অর্থ্যাৎ, আপনি যেই পণ্য নিয়ে বাজারে আসতে চাচ্ছেন, সেই পণ্যের কোনো প্রতিযোগি প্রতিষ্ঠান আছে নাকি দেখতে হবে। যদি থাকে তাহলে তারা কত টাকায় সেই পণ্যটি বিক্রি করছে? তাদের পণ্যের গুনগত মান কেমন? তাদের পণ্য আর গুনগত মান থেকে যদি আপনার পণ্যের পণ্যের মুল্য ও গুনগত মান কম বেশি হয় তাহলে আপনার পণ্য ক্রয় আরও কম মূল্যে করতে হবে এবং ভালো মানের কিনতে হবে যদি অর্গানিক কাস্টমার চান পেজের জন্য। সবচেয়ে ভালো হয় ভিন্নধর্মী পণ্য পছন্দ করা। এতে বাজারে প্রতিযোগি কম থাকে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, “আমার দ্বারা এই পণ্য বিক্রি করা সম্ভব,” এইটা বিশ্বাস করা।

আরো জানুন ই-কমার্স বলতে কি বুঝায়? ই-কমার্স সিস্টেম কিভাবে কাজ করে?

Leave a Comment